দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে যে ধরনের সমস্যা হয়
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে দুটি কিডনি অকার্যকর হতে থাকে।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯৯৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. কামরুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : একজন মানুষের কিডনি আক্রান্ত হয়ে গেলে কী করতে পারেন?
উত্তর : আসলে এটি যদি আমরা একটু খেয়াল করি যে কিডনি কী কাজ করে, তাহলে কিছু বিষয় বুঝতে পারব। যদি অনেক পানি পান করে, প্রস্রাব হয়ে যাবে। যদি কম পানি পান করে, দেখবেন যে প্রস্রাব হচ্ছে না। বাড়তি পানিটা কিডনি বের করে দিচ্ছে। আমাদের দেহের সব বর্জ্য পদার্থ বের করে দেবে। কয়েকটি নিয়ন্ত্রণমূলক কাজ রয়েছে। রক্তে কত হিমোগ্লোবিন থাকবে, সেটি ব্যবস্থাপনা করে; রক্তচাপ ব্যবস্থাপনা করে। আমাদের দেশে হাজার হাজার প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। এতে এসিড তৈরি হচ্ছে, এসিডগুলো কিডনি বের করে দেয়। এগুলো কিডনির খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যদি এগুলো না হয়, প্রথম কাজ হবে পানি জমে যেতে থাকবে। গা-হাত-পা ফুলতে থাকবে। মুখ ফুলতে থাকবে। ওজন বেড়ে যেতে থাকবে। মনে হবে বেশ ফ্যাটি হয়ে যাচ্ছে। রক্ত কমে যেতে থাকবে। এতে কী হবে? সে খুব দুর্বলতায় ভুগবে এবং চোখ ফ্যাকাসে দেখা যাচ্ছে। তৃতীয় হলো যে ক্যালসিয়াম, কমে যাবে, ফসফেট বেড়ে যাবে। হাড়ের সমস্যা দেখা দেবে এবং ক্ষুধামান্দ্য হবে, বমি বমি ভাব হবে। আরেকটি হলো দুর্বলতা, রক্তস্বল্পতা। এ তিনটি জিনিস হলো প্রধান। আরো কত জিনিস রয়েছে, সেগুলো আমরা বুঝতে পারি। যেমন এসিডোসিস হলে শরীর থেকে একটি গন্ধ আসে। ডায়ালাইসিস সেন্টারে গেলে দেখবেন, কেমন একটি গন্ধ আসে। অতিরিক্ত এসিড থাকে শরীরে, সেখান থেকে এমন হয়। এ রকম আরো কিছু বিষয় রয়েছে। প্রেশার বেড়ে যাবে। হাইপারটেনসি হবে। মাপলে দেখা যাবে অনেক উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে চলছে। তবে যখন লক্ষণ ধরা পড়ে আমরা বুঝতে পারি, কিডনি অনেক খারাপ হয়ে গেছে। কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।
ছবি : সংগৃহীত