থাইরয়েড ক্যানসারের চিকিৎসায় নিউক্লিয়ার মেডিসিন
ক্যানসারের চিকিৎসায় থাইরয়েড হরমোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০০৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নুরুন নাহার। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস বিএএমের পরিচালক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : থাইরয়েড ক্যানসারের ক্ষেত্রে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের ভূমিকা কী?
উত্তর : বিভিন্ন রকম থাইরয়েড ক্যানসার রয়েছে। তার মধ্যে একটি দল হলো ওয়েল ডিফারেন্ট থাইরয়েড ক্যানসার। সেটি হলো প্যাপিলারি বা ফলিকুলার থাইরয়েড ক্যানসার। সেখানে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। এখানে রোগীকে শুরুতে থাইরয়েড গ্রন্থির অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচার করে যতটা সম্ভব থাইরয়েড গ্রন্থি কেটে ফেলা হয়। কেটে ফেলার পর সাধারণত কিছু অংশ সার্জনরা রেখে দেন, স্নায়ু, নালীকে সেভ করার জন্য। যেটুকু কেটে ফেলা সম্ভব হলো না, একে রেডিওআয়োডিন দিয়ে পুরোপুরি ধ্বংস করতে হবে।
এতে রোগীর কোনো থাইরয়েড টিস্যু থাকবে না। পরে থাইরয়েড টিস্যু,থাইরোগ্লোবোলিন নামে একটি হরমোন তৈরি করে, এই প্রভাবটা শরীরে থাকবে না। পরে আমরা রোগীকে ফলোআপ করবো, থাইরোগ্লোবোলিন দিয়ে। এখন রোগীর সার্জারি হয়ে গেল, রোগীকে আমরা গ্লোবোলিন দিয়ে দিলাম। রেডিও আয়োডিন একটু উচ্চ মাত্রার। এটি দেওয়ার সময় রোগীকে নিরিবিলি থাকতে হয়। সাধারণত আমরা পাঁচ-ছয়দিন রোগীরে হাসপাতালে রাখি। সেখানে রোগী থাকবে। আমরা ওষুধ খাইয়ে দেব। কিছু সাহায্যকারী থেরাপি দেওয়া হয়। যেমন ব্যথার ওষুধ, বমির ওষুধ, ঘুমের ওষুধ। এগুলো দেওয়ার পর আমরা পরে রোগীকে থাইরোগ্লোবোলিন দিয়ে ফলোআপ করবো। যদি দেখা যায় থাইরোগ্লোবোলিন বাড়ছে, তাহলে বুঝতে হবে কোথাও ক্যানসারটা লুকায়িত রয়েছে। সেটি থাইরোগ্লোবোলিন তৈরি করছে। আর থাইরয়েড কোষ যদি পুরোপুরি শেষ করে ফেলা যায়, তাহলে থাইরোগ্লোবোলিনও কম থাকবে বলে আমরা আশা করি।