গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ও শিশুর জটিলতা
গর্ভাবস্থায় অনেকেই ডায়াবেটিসে ভোগেন। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস মা ও শিশুর ওপর একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০১৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রুহী জাকারিয়া। বর্তমানে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে কী ধরনের প্রভাব পড়ে?
উত্তর : আমরা গর্ভাবস্থাকে তিনটি ভাগে ভাগ করি। ফার্স্ট ট্রাইমিস্টার, সেকেন্ড ট্রাইমিস্টার, থার্ড ট্রাইমিস্টার। প্রতি ট্রাইমিস্টারে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে। প্রথম ট্রাইমিস্টারে গর্ভপাতের ঝুঁকি রয়েছে। মাঝে মাঝে কনজেনিটাল অ্যাবনরমালিটি, যেটা হলো জন্মগত ত্রুটি সেটি হয়। দ্বিতীয় ট্রাইমিস্টারে দেখা যাবে মায়ের প্রেশারে সমস্যা হচ্ছে। ডায়াবেটিসের কারণে তার প্রেশার বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন রকম সংক্রমণ বেড়ে যায়। ইউরিন ইনফেকশন বাড়ে, ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন বেড়ে যায়। বাচ্চা যে পানির মধ্যে থাকে, এর মাত্রা বেশি হয়ে যায়। বাচ্চার ওজন অনেক হয়ে যায়। আবার ডায়াবেটিস বেশি অনিয়ন্ত্রিত থাকলে দেখা যায় বাচ্চা ছোটও থাকে। প্রসবের সময় জটিলতা হয়। প্রসবের সময় বড় বাচ্চা ঠিকমতো হয় না।
স্বাভাবিকভাবে হলো, তবে তার সোল্ডার এরেস্ট হয়ে যাবে। বাচ্চা প্রসবের পরও বাচ্চার জটিলতা হয়। বাচ্চার হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। বাচ্চার হাইপার গ্লাইসেমিয়া হতে পারে। বাচ্চার বিলিরুবিনের মাত্রা বাড়তে পারে। শ্বাসকষ্ট হতে পারে। নানাবিধ সমস্যা হয়। যখনই একজন গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস হবে, তাকে কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিয়ন্ত্রণে না রাখলে এসব সমস্যা হতে পারে।