চারুকলার বকুলতলায় বিশ্ব চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ল রং-বেরঙের কাগজে সাজানো বকুলতলায় উৎসবের আমেজ। মঙ্গলবার বিশ্ব চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট আয়োজন করে ‘বিশ্ব চলচ্চিত্র দিবস ও আমাদের চলচ্চিত্র ঐতিহ্য’ শীর্ষক আলোচনা সভার।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
আলোচনায় অংশ নেন চলচ্চিত্র নির্মাতা হারুনুর রশিদ, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিসিটিআইর চলচ্চিত্র কোর্সের কোর্স পরিচালক মানজারে হাসীন মুরাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাদির জুনায়েদ।
আলোচনায় উঠে আসে চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থান; সাহসী চলচ্চিত্রের সংকটের কথা। নাদির জুনায়েদ বলেন, ‘জহির রায়হানকে আজো আমরা পরিচয় করিয়ে দিতে পারিনি বিশ্বের কাছে।’
বিশ্ব চলচ্চিত্র দিবসের গুরুত্ব কতখানি, তা উঠে আসে নির্মাতা মানজারে হাসীন মুরাদের বক্তব্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘চলচ্চিত্র হলো আন্তর্জাতিক ভাষা। এ কারণেই এর প্রভাবও সুদূরপ্রসারী। শিশুরাও আজ যখন ভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্র দেখছে, তখন এর ভাব তাদের স্পর্শ করছে ঠিকই। তথ্যপ্রযুক্তির অনৈতিক ব্যবহার রোধ করে শুভ আর মঙ্গলজনক কাজে এর ব্যবহার হওয়াটা জরুরি।’
বক্তব্যে আলোচকরা এই বাংলাদেশে বিশ্ব চলচ্চিত্র দিবস একত্রে পালন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। যেকোনো নির্দিষ্ট দিবস নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও মত প্রকাশ করেন তাঁরা।
আলোচনা সভা শেষে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। শুরুতেই প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দ্বারা নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘গন্তব্য বকজুরী’। এ ছাড়া প্রদর্শিত হয় জহির রায়হান নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’ এবং আরো দুটি তথ্যচিত্র।