আদালতে আসামি আরাফাতের স্বীকারোক্তি
রাজধানী ঢাকার স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভুঁইয়া (৪৭) হত্যাকাণ্ডের দায়ে গ্রেপ্তার করা আরেক আসামি ফয়সাল আহমেদ রাহাত ওরফে আরাফাত (২৬) মুন্সীগঞ্জ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তারের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
কোর্ট পরিদর্শক জামাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ মার্চ বরিশাল সদরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, ডিবি পুলিশের সদস্যদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি আরাফাতকে পরের দিন ৩০ মার্চ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এতে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আজ দুপুর ২টার দিকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
ডিবির ওসি আরও জানান, স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি আলিফকে এখনও ধরা যায়নি। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারলে এ হত্যকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।
২৬ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা তথা ডিবি পুলিশ সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ থেকে স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যাকাণ্ডের তিনি আসামি মিল্লাত হোসেন মুন্না (১৯), মো. আনোয়ার হোসেন (৩৮) ও এহসান ওরফে মেঘকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছিল। পরের দিন ২৭ মার্চ মুন্সীগঞ্জ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন তৃতীয় লিঙ্গের মেঘ। এ ছাড়া মুন্না ও আনোয়ারের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকার তেঁজগাঁও থানার ডমিসাইল এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন স্থপতি ইমতিয়াজ। গত ৭ মার্চ বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। এ ঘটনায় পরের দিন ৮ মার্চ ঢাকার কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর স্ত্রী। একই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের কামারকান্দা গ্রামের সেতুর পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে পৌর কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়। পরবর্তী সময়ে স্বজনরা স্থপতি ইমতিয়াজের মরদেহ শনাক্ত করে। পরে জেলার সিরাজদীখান থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে স্থপতি ইমতিয়াজের মরদেহ কবর থেকে তুলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।