এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে লোডশেডিং নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
লোডশেডিংয়ের বিষয়ে এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ শুক্রবার সকালে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘এক ঘণ্টার বেশি হচ্ছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি। একটি ফিডার বন্ধ করলাম, ওই ফিডার থেকে আবার বিদ্যুৎ আসতে আসতে আবার দু-তিন ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় আমি লক্ষ করেছি—চার ঘণ্টা (লোডশেডিং) হয়েছে। যেমন—আমার এলাকায়ও হয়েছে। আমরা এগুলো দেখার জন্য এক সপ্তাহ সময় নিয়েছি। তো, এক সপ্তাহ সময় নিয়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি—একচুয়েলি আমাদের কতটুকু লোডশেড করা দরকার, কোন জায়গায় কতটুকু করা দরকার, কীভাবে আমরা একে আরেকটু কমিয়ে আনব।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়—সপ্তাহখানেক... ১০টা দিন হলে পরে আস্তে আস্তে ঠিক করে নিয়ে আসব। এটা বেটারের দিকে যাবে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি এখানে যে গ্যাসটা নিতাম, ১১০০ বা ১২০০ হলে আমি রীতিমতো পাঁচ হাজার-ছয় হাজার-১১ হাজারের মধ্যে চালাতাম গ্যাসে। সেখানে ১০০ মেগাওয়াট কম নিচ্ছি গ্যাস। তাহলে আমি গ্যাসের পরিমাণ কোথায় দিচ্ছি? বেশির ভাগই আমি ইন্ডাস্ট্রিতে দিচ্ছি।’
গত মঙ্গলবার থেকে শিডিউল অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ে গেছে দেশ। এ ছাড়া ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিতসহ আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত সোমবার আয়োজিত এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য শিডিউলভিত্তিক লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি আরও যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত থাকবে; রাত ৮টার পর শপিংমল বন্ধ থাকবে; সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রোল পাম্প; সরকারি অফিসের সভা হবে ভার্চুয়ালি।
এ ছাড়া আরও বিভিন্ন সিদ্ধান্তের পাশাপাশি অফিসের সময়সূচি দুই ঘণ্টা কমানোর চিন্তা চলছে বলেও জানানো হয়েছে।
জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী সাংবাদিকদের জানান, খরচ কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা হচ্ছে। এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা, কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধাবস্থার সঙ্গে তুলনা করে জ্বালানি উপদেষ্টা আরও জানান, রাত ৮টার পরে দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কেউ খোলা রাখলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি অফিসের সময় কমানো ও সভা অনলাইনে করা হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘গাড়িতে তেল কম ব্যবহার করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এটা দীর্ঘমেয়াদি নয়। আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতের বেশি অগ্রাধিকার শিল্প ব্যবসায়।’