করোনায় সাংসদ সামাদের মৃত্যু, প্রধানমন্ত্রীর শোক
সিলেট-৩ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সাংসদের মৃত্যুর বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন ইউনাইটেড হাসপাতালের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সাজ্জাদুর রহমান শুভ। তিনি বলেন, ‘৮ মার্চ মাহমুদ উস সামাদ আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হলে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। আজ দুপুর দেড়টার দিকে তিনি করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় মারা যান। তিনি করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।’
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী স্ত্রী, এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একইসঙ্গে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী গত ১০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে করোনাভাইরাসের টিকা নেন। তারপর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল না। কয়েক দিন আগে নির্বাচনী এলাকার দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি।
গত রোববার ঢাকায় আসার পথে বিমানের মধ্যেই অসুস্থ অনুভব করায় সেখান থেকে সরাসরি তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। করোনা পরীক্ষার জন্য ৮ মার্চ সকালে ইউনাইটেড হাসপাতালে নমুনা দেন তিনি। বিকেলে ফলাফল পজিটিভ আসে।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ২০০৮ সাল থেকে পরপর তিনবার সিলেট-৩ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫৫ সালের ৩ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী ও মা আছিয়া খানম চৌধুরী।
জানাজা ও দাফন কাল
সিলেটে এনটিভির স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মারুফ আহমেদ জানিয়েছেন, সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মরদেহ আগামীকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারে করে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এসে পৌঁছাবে। বিকেল ৫টায় উপজেলার কাসিম আলী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা হবে। শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।