গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণে বিআরডিবির অবদান রয়েছে : এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী
তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষুদ্র অবকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) এর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।
সিলেট জেলার খাদিমনগরে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বিআরডিটিআই) মিলনায়তনে অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর উদ্যোগে আয়োজিত সিলেট বিভাগের অধীন জেলা এবং কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলাধীন উপপরিচালক, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও উপকারভোগীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পিত পল্লী গঠন ও পল্লী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামীণ স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ার লক্ষ্যে জাতির পিতা কাজ করেছেন। জাতির পিতা সবসময় জনপ্রত্যাশা পূরণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে বেরিয়েছেন। উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ গণমানুষের দারিদ্র্য বিমোচন, তাদের উন্নয়ন। জাতির পিতা মাটি ও মানুষের রাজনীতি করেছেন। তিনি শোষিত শ্রেণির মানুষের পক্ষে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণ ও জনপ্রতিনিধি সকলের অংশগ্রহণে পিআরডিপি-৩ প্রকল্পটি অত্যন্ত সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে। গ্রামীণ জীবনমানের যে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে, তার পেছনে অংশীদারত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের অবদান রয়েছে। গ্রাম উন্নয়নে সম্পৃক্ত সকলের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক সেবা নিশ্চিত করেছে প্রকল্পটি। বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলার ২১৫টি উপজেলার ৬৫০টি ইউনিয়নে পিআরডিপি-৩ প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। পল্লী উন্নয়নে বিআরডিবি-এর মাধ্যমে এক হাজার গ্রামকে শিল্প গ্রাম তৈরি করার বিষয়ে পুনঃব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে ক্ষুদ্র শিল্পের নতুন এক গ্রাম গড়ে উঠবে। এসব শিল্প পল্লীতে প্রশিক্ষণ, ঋণ সহায়তা, কারিগরি সহায়তা ও উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করারও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও পুনর্বাসনে ব্যাপক ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করেছন। এ সব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দেশের অনুন্নত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) এর মহাপরিচালক মো. সাহেদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক কর্মশালায় সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরি হক, পিআরডিপি-৩ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক তপন কুমার মণ্ডল, বিআরডিটিআই এর পরিচালক ফারুক আহমেদ জোয়ার্দার উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন জেলার উপ-পরিচালক এবং ইউপি চেয়ারম্যানরা মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বক্তব্য দেন।