বগুড়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৭
বগুড়া গাবতলী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার বেলা দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে সাত নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি বিএনপির। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এক অভিযোগ বলছে, বিএনপির নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেওয়ায় আজ বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভকারী নেতাকর্মীরা এ সময় এলাকায় টাঙানো বিএনপির ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং উপজেলা বিএনপির কর্যালয়ে হামলা চালায়। পরে সভাপতি মোরশেদ মিল্টনের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা। পরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এই সংঘর্ষ প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং দুই দলের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আজকের এই আক্রমণের মাধ্যমে আওয়ামী তাদের রাজনৈতিক আসল যে কালচার, সেই কালটারটাই দেখাল।’
মিল্টন বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ করবে—এটাই স্বাভাবিক। এ সময় পুলিশ এসে গুলি করে বিএনপির ছয়-সাতজন নেতাকর্মীকে আহত করেছে।’
এ বিষয়ে জানতে বারবার চেষ্টার পরও শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রবিন খানের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।’