মেয়র আতিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এই মামলাটি করেন মো. আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিচারক মামলার জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি আদেশ দিবেন বলে জানিয়েছেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদী সরকারের কাছ থেকে ৪৭ দশমিক ৯০ একর জমি বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি প্রকল্প বরাদ্দ নেন। সেই প্রকল্পের জমি বিভিন্ন অসদুপায়ে অন্যদের দখল করতে উৎসাহিত করেন বিবাদী আতিকুল ইসলাম।
বাদী আরও বলেন, প্রকল্পের তৈরিকৃত ভবন ও উন্নয়ন অবকাঠামো প্রতিনিয়ত ভাঙচুর লুটপাট এবং প্রকল্পের ধ্বংস করেছেন আসামিরা। সে প্রকল্প নষ্ট করার জন্য ডিএনসিসি মেয়র ওই আসামির সঙ্গে গোপন ষড়যন্ত্র করে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং পরস্পর যোগসাজশে দুই একর জমি অন্যায় ও অবৈধভাবে তার ক্ষমতা অপব্যবহার করে দখল করে। গত ২ জুন আসামি উপস্থিত থেকে স্থাপনা ভাঙার সরঞ্জামাদি নিয়ে ভাঙচুর করে পাঁচ কোটি টাকায় ক্ষতি করে। যাহা দেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় এসেছে এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।
বাদী আরজিতে আরও বলেন, এরপর মেয়র আতিক বাদী ও তার পরিবার সম্পর্কে মিডিয়া উল্লেখ করেন যে, খাল দখল ও দূষণের উদাহরণ হচ্ছে এই ভাষানটেক প্রকল্প। তিনি আরও বলেন, যেখানে কথা ছিল যে বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হবে, কিন্তু পুনর্বাসন করা হয়নি। এ ছাড়া, রহিমের নামে এক ব্যক্তি খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেন। অথচ বর্তমানে ভাষানটেক প্রকল্পের নিম্নবিত্ত দুই হাজার পরিবার বসবাস করছে। বিগত ৩০ মে একটি জাতীয় দৈনিককে তিনি আরও বলেন, যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের অসুস্থ বলে মনে হচ্ছে।
বাদী আরজিতে বলেন, আসামিরা বিভিন্ন মিডিয়ার এবং ডিজিটাল ডিভাইসে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদী ও তার পরিবারের সম্পর্ক আক্রমণাত্মক মিথ্যা এবং মানহানির তথ্যপ্রকাশ করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ২৯ ধারায় অপরাধ করেছে।
বাদী মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন।