যেকোনো স্থানে অভিযান চালাতে পারে পুলিশ : ডিবি প্রধান
কোনো জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ বা অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা হলে পুলিশ যেকোনো সময় অভিযান পরিচালনা করতে পারে বলে দাবি করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উত্তরায় একটি বারে ডিবির অভিযানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়, উত্তরায় কিংফিশার রেস্টুরেন্ট নামে একটি কথিত বারে পুলিশের অভিযান ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তাহলে ডিবি কীভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে?
এ প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পুলিশ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে পারে কি না বা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারে কি না, তা আপনারা (সাংবাদিক) ভালো জানেন। আমাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৩ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কারা তল্লাশি করবেন বা করবেন না।’
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পুলিশ প্রয়োজনে অবৈধ কোনো জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ, অবৈধভাবে মদ বিক্রি এবং যেকোনো ঘটনা ঘটলে যেকোনো জায়গায় অভিযান বা তল্লাশি চালাতে পারে। আমরা সব সময় এটা করে আসছি, আমরা বড় বড় চালান ধরছি। এ ছাড়া অবৈধ বারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরার একটি ভবনে অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সেখানকার একটি বার থেকে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ক্যান বিয়ার ও সাড়ে চার শতাধিক বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করার কথা জানিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, ওই ভবনে অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ারের ব্যবসা করা হয়।
ডিবির দাবি, কিংফিশার রেস্টুরেন্ট নামে ওই ভবনের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তলায় অবৈধ কার্যক্রম চলত। অভিযানকালে বারটি থেকে ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের সময় সংরক্ষিত মদ ও বিয়ার আমদানির বৈধ কোনো কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। অভিযানে কিংফিশার রেস্টুরেন্ট ও লেকভিউ বারের মালিক মুক্তার হোসেনকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বলছে, ওই বারে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। বারটি বৈধভাবেই চলছিল। লাইসেন্স নিয়ে বারটি পরিচালনা করা হচ্ছিল। আর বার থেকে যেসব মদ-বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে, লাইসেন্স অনুযায়ী তারা সেসব সংরক্ষণ করতে পারে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮-এর ২৩ ধারায় বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ পুলিশ, কাস্টমস, বিজিবি, কোস্টগার্ড লাইসেন্স করা প্রতিষ্ঠান ছাড়া যেকোনো মাদকের বিষয়ে অভিযান চালাতে পারে। তবে, আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স নেওয়া প্রতিষ্ঠানে শুধু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালাতে পারবে।