সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে ‘হত্যা’, স্বামী-শ্বশুর পলাতক
শরীয়তপুরের জাজিরায় রেশমা আক্তার (২২) নামের এক অন্তঃসত্ত্বাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী নুরুল আমিন শেখ ও শ্বশুর হাসেম শেখ পলাতক।
পুলিশ বলছে, নিহতের বাম চোখে এবং মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওডোবা ইউনিয়নের হারান টুলির কান্দি গ্রামে। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত রেশমার ভাই ইয়ার হোসেন ও জাজিরা থানা সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ১১ মাস আগে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের হাজী ইউছুফ ঢালী কান্দি গ্রামের রেশমা আক্তারের সঙ্গে জাজিরার পশ্চিম নাওডোবা হারান টুলির কান্দি গ্রামের নুরুল আমিন শেখের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের পরিবার নগদ দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দিয়ে দেয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই স্বামী রুহুল আমিন ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। রেশমা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক মাস আগে বাবার বাড়ি চলে যান। রেশমা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় স্থানীয় লোকজন সালিস করে মীমাংসা করে দেয় এবং রেশমা শ্বশুরবাড়ি ফিরে যান।
স্বজনদের অভিযোগ, গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে রেশমাকে নির্যাতন করেন এবং তাঁর গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন নুরুল আমিন শেখ।
গতকাল সোমবার দুপুরে জাজিরা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের ভাই ইয়ার হোসেন বলেন, ‘নেশাখোর স্বামী নুরুল আমিন ও শ্বশুর টাকার জন্য রেশমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। টাকা না পেয়ে তারা আমার বোনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছে। তার কপালে ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমি আমার বোনের হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের বাম চোখে ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ও তদন্তসাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।