গাইবান্ধায় দ্বিতীয় দফায় ১০ ইউনিয়ন প্লাবিত
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৫৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ঘাঘট নদীর পানি ৫৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া তিস্তা নদীতে পানি ৫২ সেন্টিমিটার ও করতোয়া নদীতে ৮৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। ফলে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের ১০টি ইউনিয়ন দ্বিতীয় দফায় বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার অন্তত ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েক দিনের টানা বর্ষণে নদীর পানি হু-হু করে বাড়ছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাউবোর প্রকৌশলীরা গতকাল জানিয়েছিলেন, দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর পানি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণেই এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। দেশের কিছু কিছু এলাকা এরই মধ্যে জলমগ্ন হয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
পাউবো জানায়, বাংলাদেশের উজানের তিনটি অববাহিকায় (গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা) মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার ফলে গত তিন দিন থেকে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে এই অববাহিকার নদীগুলোর ভারতীয় অংশে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মধ্য আগস্টে দেশে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছিলেন, ‘এবার দ্বিগুণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সামনে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে তিনটি নদীর পানি বৃদ্ধি এবং অমাবস্যা হলে সাধারণত বাংলাদেশে বন্যা হয়। তাই আগস্টের মাঝমাঝি বড় ধরনের বন্যার শঙ্কা রয়েছে।’ এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন পানিসম্পদমন্ত্রী।