শরীয়তপুরে সংঘর্ষ, ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী বহিষ্কার
শরীয়তপুর সরকারি কলেজে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সংগঠনের ছয়জন নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কার হওয়া নেতাকর্মীরা হলেন শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সগীর হাওলাদার, সদস্য জাহিদ হাসান বাপ্পি, শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য রাজিব দেওয়ান ও অনিক মাদবর এবং কর্মী রাসেল সরদার। এ ছাড়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন টিপু কোতোয়ালকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবরকে কেন বহিষ্কার করা হবে না তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানা গেছে।
শরীয়তপুর সরকারি কলেজে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন টিপুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইকবাল হোসেন টিপু সমর্থকরা কলেজের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও মহসিন মাদবরের সমর্থক সোহান হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত করে। আহত ওই ছাত্রকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইকবাল হোসেন টিপু, আলী আজম মাদবর, জাহিদ হাসান বাপ্পি, রাজিব দেওয়ান, রাসেল সরদার ও সগীর হাওলাদারকে আটক করেছে।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অডিটরিয়ামে আলোচনা অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়। অনুষ্ঠান শেষে ক্যাম্পাসের বাইরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীর বাবা হারুন হাওলাদার একটি মামলা করেছেন।
শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠান কক্ষের ভেতরে করতে হয়েছে। এ কারণে সেখানে অনেককে বসতে দেওয়া সম্ভব হয়নি। সিনিয়র-জুনিয়র নেতাদের বসা নিয়ে ছত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ক্যাম্পাসের বাইরে তারা কলেজের এক ছাত্রকে কুপিয়ে আহত করেছে। তাকে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।