পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নিন্দা
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিপেটা করায় নিন্দা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুলিশের লাঠিপেটায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায় স্বেচ্ছাসেবক দল।
মঙ্গলবার বিকেলে হাইকোর্ট থেকে বঙ্গবাজার পর্যন্ত সড়কে বিএনপির নেতা কর্মী ও পুলিশের মধে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে বাসসহ একাধিক যানবাহনে ভাঙচুর হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর বকশীবাজারস্থ অস্থায়ী আদালতে যাওয়া আসার পথে তাঁর গাড়িবহরের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পুলিশের লাঠিচার্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রফিক হাওলাদার, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বিপ্লব, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য এস এম সাহেল আহমেদ কাঞ্চন, মাসুম বিল্লাহ খান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ডালিম সিকদার, মাহফুজসহ অনেক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের অনেক নেতাকর্মীকে।’
সংগঠনের নেতারা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পুলিশ সরকারের ইন্ধনে অতি উৎসাহী হয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। গণতান্ত্রিক অধিকারকে নস্যাৎ ও বাধাগ্রস্ত করার নীলনকশাকে বাস্তবায়ন করার জন্য বিনা ভোটের বর্তমান আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। রাজপথে জনগণের উপস্থিতি তারা কোনোভাবেই বরদাশত করতে পারছে না বলেই আজ বকশীবাজারের আদালত প্রাঙ্গণে সরকার আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। জনবিচ্ছিন্ন সরকারের এই ন্যক্কারজনক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।’
বিএনপির নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে ওই সংগঠন।