বিনিয়োগের এমন পরিবেশ কোনো দেশ দিতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী
বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের যে পরিবেশ তা আর কোনো দেশ দিতে পারবে না জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এ দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
বিনিয়োগে আকর্ষণ, পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বেপজা। তাদের উদ্যোগে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী সম্মেলন।
এবারের সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে। তিনি বলেন, ‘সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির কারণেই বর্তমানে ৩৮টি দেশের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের পণ্য উৎপাদন করছে বাংলাদেশ।’
শেখ হাসিনা বলেন,‘এত চমৎকার বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বোধয় পৃথিবীর আর কোনো দেশ দিতে পারবে না। কাজেই সবাই যাঁরা বিনিয়োগ করতে চান, আপনারা আসুন বিনিয়োগ করুন। দেশি-বিদেশি সবাইকে এই সুযোগটা আমরা দিতে চাই। যার ফলে আমার দেশ এগিয়ে যাবে। সীমিত পণ্যের ওপর আমাদের আমাদের রপ্তানি নির্ভরশীল। আমরা চাই রপ্তানি বহুমুখী করতে এবং আরো নতুন নতুন পণ্য যাতে আমরা রপ্তানি করতে পারি। সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিতে চাই।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার বেপজার আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী সম্মেলনে মিরসরায়ের অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা
সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে যে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে সেখানে সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করারও প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী। আহ্বান জানান কৃষি জমিতে কলকারখানা না করার।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো মতেই কৃষি জমি যেন নষ্ট না হয়, কিন্তু শিল্প কলকারখানাও যেন গড়ে উঠে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা যেসব এলাকায় ফসল বেশি হয় না বা ফসল একে বারেই উৎপাদন হয় না, অনুর্বর জমি সেই সব জমি আমরা বেছে নিচ্ছি। শিল্প কলকারখানা প্রসারের সাথে সাথে পরিবেশ রক্ষা করা একান্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।’
সাধারণ মানুষজনের জন্যই প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি করেন জানিয়ে কারো উসকানিতে কলকারখানার ক্ষতি না করতে শ্রমিকদের আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাইরের কারো উসকানিতে আপনারা কোনোমতেই আপনাদের কর্মক্ষেত্রের কোনো ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিবেন। যারা হয়তো কাজ করতে চায় না, শ্রম দেয় না। কিন্তু সংগঠন করার নামে অনেক সময় নানা ধরনের কর্মকাণ্ড করে যার ফলে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। এই ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।’
এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক হাজার ১৫০ একর জমিতে বেপজার অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।