রাজধানী যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা বখতিয়ার মোহাম্মদ লতিফ হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামির নাম মো. খলিল (৩৫)।  অপরদিকে, যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. আকতার (৩৫), রুস্তম আলী হাওলাদার (৫০), জালাল উদ্দিন (৪৫), মো. হাবিব (৫৫), মো. সবুজ (২৭) ও মো. মতি (৩৫)।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সৈয়দ শামসুল হক বাদল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, রায় ঘোষণার পর আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীতে আসামিরা মামলার বাদী জাহিদ আল লতিফ ওরফে খোকার বাড়িতে ডাকাতি করেন।

ডাকাতির সময় বাদীর ছেলে বখতিয়ার মোহাম্মদ লতিফ বাধা দিলে ডাকাত সদস্যদের মধ্যে খলিল তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে লতিফকে দুটি গুলি করেন।

আরো জানা যায়, বাদী এবং তাঁর স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এরপর লতিফকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বখতিয়ারের বাবা জাহিদ আল লতিফ ওরফে খোকা যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইউনুস সাত আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।