গণিত প্রশ্নের ছবি তুলে সমাধান, দেওয়ার সময় ধরা!
নরসিংদীর মাধবদীতে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে গণিত প্রশ্নের ছবি তুলে সমাধান করে সরবরাহ করার সময় আটক হয়েছেন তিন স্কুলশিক্ষক ও একজন অভিভাবক। পরে তাঁদের চারজনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ শনিবার দুপুরে নরসিংদীর মাধবদী এসপি ইনস্টিটিউটে এসএসসির গণিত বিষয়ের পরীক্ষা চলার সময় তাঁদের আটক করা হয়।
সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মাধবদী এসপি ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক মেহেরুন নেসা, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন, বিপিএড শিক্ষক অঞ্জন দেবনাথ ও অভিভাবক মোখলেসুর রহমান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম রেজা এ রায় দিয়েছেন।
ভ্রাম্যমাণ-আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টা থেকে এসএসসির গণিত পরীক্ষা শুরু হয়। মাধবদী এসপি ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা দেওয়া এক শিক্ষার্থীকে নকল দেওয়ার জন্য পরীক্ষার হল থেকে মুঠোফোনে প্রশ্নের ছবি উঠিয়ে নেন এক শিক্ষক। পরে এসপি ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিনের বাসায় বসে তিন শিক্ষক প্রশ্নপত্রের উত্তর লিখে নেন এবং তা মুঠোফোনে ছবি তুলে নেন। উত্তর পরীক্ষার্থীর কাছে সরবরাহ করার জন্য পরে তারা স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের নজরে আসে। শিক্ষকদের কাছে প্রশ্ন ফাঁস ও নকল সরবরাহ করার বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। তাঁরা অস্বীকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদলতের বিচারক শিক্ষকদের চ্যালেঞ্জ করেন। পরে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের মুঠোফোনে গণিতের প্রশ্ন ও সমাধানের কপি পাওয়া যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তিন শিক্ষক ও এক অভিভাবককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল সরবরাহ করার দায়ে তিন শিক্ষকসহ চারজনকে এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।