দুই ডাকাতকে ধরে পিটুনি, এসিড নিক্ষেপ
পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভায় স্বর্ণালংকারের একটি দোকানে ডাকাতির সময় দুজনকে আটক করে পিটুনি দিয়েছে লোকজন। পরে তাদের শরীরে দোকানে থাকা এসিড ঢেলে দেয় তারা।
এদিকে দোকানের বাইরে থাকা ডাকাতরা একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন পথচারী আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে গলাচিপা পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্বর্ণকারপট্টির ‘মা স্বর্ণ শিল্পালয়’ দোকানে তিনজন ডাকাত ক্রেতা সেজে দোকানের মালিক নির্মল কর্মকারকে অস্ত্র দেখিয়ে জিম্মি করে ডাকাতির চেষ্টা করে। এ সময় নির্মল কর্মকারের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে ডাকাতরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দোকানের মালিককে আঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে। স্থানীয়রা দোকানটি ঘিরে ফেললে বাইরে থাকা ডাকাতরা আট থেকে নয়টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।
উপস্থিত জনতা দোকানে থাকা ডাকাত জিয়া ও কিবরিয়াকে আটক করে পিটুনি দেয় এবং তাদের শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে ডাকাতদের শরীর ঝলসে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দোকানের মালিক ও দুই ডাকাতকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া ডাকাতদের ককটেল হামলায় উজ্জ্বল বনিক (৩০), সুমন কর্মকার (৩২), শুভ দাস (৩০), চন্দন বনিক (২৮), সজল কর্মকারসহ (৩৬) ১০ জন আহত হয়েছে।
তবে কী পরিমাণ স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি নির্মল কর্মকার।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, আটক দুই ডাকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িত অন্যদের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি তাজা ককটেল, একটি পিস্তল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।