পাবনায় একুশ আসছে নতুন চেতনা নিয়ে
নতুন প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে পরিচিত করতে এক মহতী উদ্যোগ নিয়েছে পাবনা জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ এবং স্থানীয়দের অর্থায়নে পাবনার শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার।
পাবনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার এক হাজার ৭০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ মিনার। এতে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ সব জায়গায় চলছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তুতি।
পাবনার জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাঙালির আবেগকে যদি ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে যেকোনো অপশক্তি তাঁর কাছে মাথা নত করতে বাধ্য। এ ভাবনা থেকেই নতুন প্রজন্মকে একুশ ও দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে আমাদের এই উদ্যোগ। জেলার শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মিত হওয়ায় পাবনা জেলাকে ‘একুশের চেতনায় পাবনা’ নামে ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল বলেন, ‘জাতির জনককে হত্যার পর আমরা পাবনায় একুশ উদযাপনে পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছি। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে বারবার। ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করা হয়েছে আমাদের ভাষা শহীদদের।’
পাবনার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, মাত্র দেড় বছরেই পাবনার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। শহীদ মিনার আগামী প্রজন্মকে শেখাবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে। দেশমাতৃকার যেকোনো বিপদে তারা বুক উচিয়ে দাঁড়াবে সেই চেতনাবোধ থেকেই।
প্রগতিশীল নাট্যকর্মী ফারুক হোসেন চৌধুরী বলেন, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের উত্থানে পাবনায় মানুষ একুশ উদযাপন নানা বাধার মুখে পড়েছে। সাধারণ মানুষ ভয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যেতে পারেনি। তবে জেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের যে উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।