কিশোরগঞ্জে বিএনপির আট নেতার মুক্তি
কারাগারে আটক কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলামসহ দলের আট নেতা মুক্তি পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।
এ সময় আগে থেকে অপেক্ষমাণ বিপুল নেতাকর্মী স্লোগানের মধ্য দিয়ে জেল থেকে বের হওয়া নেতাদের গলায় পুষ্পমাল্য পরিয়ে তাঁদের অভিনন্দন জানান।
জামিন পাওয়া অন্য নেতারা হলেন ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি বাহার উল ইসলাম বাহার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তরিকুজ্জামান পার্নেল, ভৈরব উপজেলা যুবদলনেতা মাসুদ মিয়া, ছাত্রদলনেতা আকরাম হোসেন, বিএনপিনেতা জুয়েল মিয়া ও মো. আতাউর রহমান।
এর আগে গত রোববার সকালে হাইকোর্টে আটক নেতাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। তিনি জানান, এছাড়াও গত ১২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান মামলার এজাহারভুক্ত ৪৫ আসামির মধ্যে ৩৭ জন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেটে দুই ওলির মাজার জিয়ারত করতে যান। পথে ভৈরবে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেলের জবাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে। এতে তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিএনপির কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হন।
ওই দিন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি ইসরাইল, ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি বাহার উল ইসলাম বাহার, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তারিকুজ্জামান পার্নেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের জখম ও নাশকতা চেষ্টার অভিযোগ এনে ভৈরব উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৪৫ নেতাকর্মীর নাম এজাহারভুক্ত করে ভৈরব থানায় একটি মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) অভিজিৎ চৌধুরী। পরে আটক নেতাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিনই তাঁদের কিশোরগঞ্জ জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।