শ্রীপুরে শিশুকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’, কিশোর আটক
গাজীপুরের শ্রীপুরে খেলার সময় সাত বছরের এক শিশুকে জঙ্গলে ডেকে নিয়ে ধষর্ণের পর মাথা থেঁতলে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পারভেজ নামের এক কিশোরকে ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। সে শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার আবদার গ্রামের বাসিন্দা। ময়নাতদন্তের জন্য আজ শুক্রবার লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনা বাজার আবদার গ্রামের ভাড়া বাড়িতে বাবা-মার সঙ্গে থাকতো শিশু। তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা এলাকায়। তারা এলাকায় ঘুরে পরিত্যক্ত মালামাল কুড়িয়ে তা বিক্রি করে সংসার চালায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটি খেলা করতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী আব্দুল আউয়াল ডিগ্রি কলেজের মাঠে যায়। সন্ধ্যায় মাঠ থেকে কৌশলে শিশুটিকে ওই কলেজের নির্মাণাধীন ভবনের পেছনের নির্জন জঙ্গলে নিয়ে যায় প্রতিবেশী কিশোর পারভেজ। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণের পর মাথা থেঁতলে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে সন্ধ্যার পরও শিশুটি বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা প্রতিবেশীদের ঘরবাড়িসহ বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে মধ্যরাতে ওই কলেজের পাশের শিশুটির লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পারভেজকে আটক করে। সে স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র।
শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর মাথা থেঁতলে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া শিশুটির জননাঙ্গে রক্তক্ষরণের চিহ্ন রয়েছে।