সুষ্ঠু নির্বাচনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না ইসি
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন সমাজের বিশিষ্টজনরা। তাদের মতে, সরকার অব্যাহতভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে।
আজ শনিবার ঢাকা ফোরাম আয়োজিত ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন তা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান। তিনি বলেন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের যে পদক্ষেপগুলো নিতে হবে সেগুলো নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনের সেই তৎপরতা আমরা দেখতে পারছি না। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। এটা তার সাংবিধানিক দায়িত্ব। এই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করার জন্য যা যা লাগে করবে। যদি সরকারের কোনো আইন পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে তারা সেটি প্রস্তাব করবে,এ ব্যাপারে চাপ দিবে। এটি আমরা তাদের কাছে চাই।’
একদল রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে, আর অন্য দল ঘরের মধ্যেও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারছে না- এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এই মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের কোনো প্রত্যাশা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে নাই। এক দল এক বছর আগ থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে, রাষ্ট্রীয় খরচে। আর আরেক দল ঘর থেকে বের হতে পারছে না। তাহলে নির্বাচন কমিশন যে বলছে, একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা, তার কোনো আলামত তো দেখা যাচ্ছে না।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনে চুরি বা দুর্নীতি সব দুর্নীতির জন্মদাতা। আজকে বাংলাদেশে যে দুর্নীতি হচ্ছে, একটা শ্রেণি হয়ে গেছে। চাটুকার দুর্নীতিপরায়ণ একটা শ্রেণি, আর বাকি নাগরিকরা। স্বাধীন নির্বাচনের সাহস করতে পারছে না এই জন্য যে তাদের সমর্থন জনগণের ওপর নাই। তাহলে কাদের সমর্থনে এই সরকার চলছে। এই একটা প্রশ্ন আমি আপনাদের কাছে রাখতাছি।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়েছে মন্তব্য করে সভায় বক্তারা বলেন, সংবিধানের অজুহাত দিয়ে সরকার একদলীয় শাসনের পথ বেছে নিয়েছে। কোনো দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার্থে সংবিধান নয় বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কমিশনকে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের আহ্বান জানান বক্তারা।