বিএনপিকে ‘ঘরে বা অফিসে আন্দোলন’ করতে বললেন কাদের
বিএনপিকে ‘ঘরে বা অফিসে বসে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন’ করার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘রাস্তা দখল করে কীসের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন?’
আজ রোববার রাজধানীর রমনায় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির সভায় এসব কথা বলেন কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন কিংবা কারাবাসের সময়সীমা নির্ধারণের বিষয় আদালতের, এখানে আওয়ামী লীগের কোনো হাত নেই। একই সঙ্গে বিএনপির চলমান আন্দোলন-কর্মসূচির বিষয়েও সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিম্ন আদালতের রায় হয়েছে, আপিল করার অধিকার তাঁর আছে। উচ্চ আদালত যদি তাঁকে মুক্তি দেয় নির্বাচন করার অধিকার দেয়, সেখানে তো আমাদের কোনো বিষয় না। সেখানে আওয়ামী লীগ কী করবে? উচ্চ আদালত যদি তাঁর দণ্ড বহাল রাখে সেই অবস্থায় তিনি নির্বাচনে যোগ্যতা হারিয়ে ফেললে আমাদের তো কিছু করার নেই।’
গতকাল শনিবার বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সহিংসতা এবং দলটির চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নামে বিএনপি দেশে অশান্ত ও অস্থির পরিবেশ তৈরি করছে।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘রাস্তা দখল করে কীসের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। শান্তিপূর্ণ যখন তখন তা ঘরেই করুন। অফিসে করুন। সক্ষমতা থাকলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে তারা যাবে না। তার প্রমাণ তো লন্ডন দূতাবাসে হামলা, তার প্রমাণ হচ্ছে হাইকোর্টের সামনে প্রিজনভ্যানে হামলা। এ তাণ্ডব যারা করে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে? শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নামে অশান্তি, অস্থিরতার ক্ষেত্র তৈরি করছে তারা।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন) তারেক রহমানসহ আরো পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই থেকে পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়েছে। তাঁর আইনজীবীরা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন। নিম্ন আদালত থেকে মামলার রায়ের নথি না আসা পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেওয়া যাবে না বলে আজ উচ্চ আদালত জানান।