‘আইনজীবীদের ভুলের কারণে কারাগারে খালেদা জিয়া’
আইনজীবীদের ভুলের কারণেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হয়েছে বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ন্যাশনাল জাস্টিস কো-অর্ডিনেশন কমিটির অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগ আইন কানুন মেনে নিজস্ব গতিতে চলে। সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপে করার কোনো সুযোগ নেই।’
অনুষ্ঠান শেষে আনিসুল হকের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, খালেদা জিয়ার জেলে যাওয়া নিয়ে সম্প্রতি তাঁর (খালেদা জিয়া) আইনজীবীরা যে মন্তব্য করছেন সে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, ‘উনাদের (আইনজীবী) নেতা খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন উনাদের ভুলের কারণে। সে কারণগুলো এখন সরকারের ওপর চাপাচ্ছেন। আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই সরকার বিশ্বাস করে এবং সরকার সেটা পালন করে যে বিচার বিভাগ স্বাধীন।’
এদিকে সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের বক্তব্যের সমালোচনা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘যারা শিক্ষিত লোক তারা কীভাবে এ কথা বলে তিনি (খালেদা জিয়া) যতদিন জেলে থাকবেন বিএনপির জনপ্রিয়তা তত বাড়বে এমনকি প্রতিদিন আওয়ামী লীগের ১০ লাখ ভোট কমবে। আমি সেদিন ভোলাতে একটা অনুষ্ঠানে বলেছিলাম যে মওদুদ সাহেব, তাই যদি হয় কোর্টে যাবেন না, খালেদা জিয়াকে জেলে রাখুন। কারণ বেরিয়ে গেলে তো জনপ্রিয়তা আবার আটকে যাবে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
রায় ঘোষণার পর থেকেই কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনকে।