জাফর ইকবালের প্রতি ফয়জুরের আক্রোশ ছিল : র্যাব
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর রহমান জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী হয়েই এই হামলা চালিয়েছে।
আজ রোববার বিকেল ৩টায় সিলেটে র্যাব-৯ এর সদর অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ এই তথ্য জানান।
কর্নেল আলী হায়দার আজাদ বলেন, ‘ফয়জুরের কাছ থেকে র্যাব বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল কাজ করছে। এরই মধ্যে র্যাব তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ ধরনের হামলা কেউ একা করতে পারে না। তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল বলে আমরা ধারণা করছি। তবে জিজ্ঞাসাবাদে ফয়জুর র্যাবকে জানিয়েছে, সে একাই হামলা চালিয়েছে।’
এই র্যাব কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘ফয়জুর মাদ্রাসায় দাখিল পর্যন্ত পড়াশোনার পর আর পড়েনি। বিভিন্ন স্থানে সে কাজ করেছে।’
র্যাব জানায়, ফয়জুরকে সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হবে। জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনার মূল তদন্ত করবে পুলিশ। তবে র্যাব ছায়া তদন্ত করবে। এছাড়া ফয়জুরের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
কর্নেল আলী হায়দার আজাদ বলেন, ‘জাফর ইকবালের প্রতি ফয়জুরের আক্রোশ ছিল। জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু, এই আক্রোশে ফয়জুর হামলা চালায়।’
সিলেট শহরতলীর কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ার ফয়জুরের বাড়ি থেকে কিছু ধর্মীয় বইসহ অন্যান্য আলামত র্যাবের একটি দল খতিয়ে দেখছে বলেও জানান আলী হায়দার আজাদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের একটি উৎসব ছিল। সেই উৎসবে অংশ নিয়ে অন্যদের সঙ্গে মুক্তমঞ্চে বসে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এক যুবক হঠাৎ পেছন থেকে তাঁর মাথায় ছুরিকাঘাত করেন। এরপর তাঁকে নেওয়া হয় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাতেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে আসা হয়।
জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারীর নাম ফয়জুর রহমান (২৪)। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়াপন গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশে কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ায় থাকেন ফয়জুর। তিনি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছেন। ফয়জুর মঈন কম্পিউটার নামে একটি দোকানে কাজ করেন।