সৌদি থেকে ফিরে খুন হলেন হত্যা মামলার আসামি
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় শফিকুল শেখ (৩৩) নামের এক সৌদি আরব প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার বরাশুর গ্রামের কুব্বাত শেখের মেহগনি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
একই গ্রামের রাজু সাহা হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি ছিলেন শফিকুল শেখ। তিনি ছয় মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।
শফিকুলের বড় ভাই নাজমুল শেখ জানান, ২০০৬ সালে একই গ্রামের খোকন সাহার ছেলে রাজু সাহাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় শফিকুলকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়। গতকাল রোববার এশার নামাজের পর বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে পাশের ভাটিয়াপাড়া রেল স্টেশন মসজিদে ওয়াজ শুনতে গিয়ে নিখোঁজ হন শফিকুল। রাতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে আজ সকালে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় শফিকুলের লাশের ডান পায়ের গোড়ালি ভাঙা এবং পিঠে হাতুড়ির আঘাতের মতো অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ছাড়া তাঁর গলায় রশি পেঁচানো ছিল।
রাজু সাহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শফিকুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা সন্দেহ করছেন।
এদিকে শফিকুলকে হত্যার অভিযোগ এনে তাঁর প্রতিবেশীসহ কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তি নিহত রাজু সাহার সঙ্গীদের বাড়ি ও দোকানে হামলা চালায় বলেও খবর পাওয়া গেছে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার নাজমুল হুদা বলেন, লাশের ডান পায়ের গোড়ালি ভাঙা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গলায় রশি পেঁচানো রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর শফিকুলের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা, মারপিট ও ভাঙচুরের কোনো খবর তিনি পাননি বলেও জানান এই উপপরিদর্শক।