বিমান দুর্ঘটনায় আহত কবিরের চিকিৎসাই এখন প্রধান চিন্তা
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর নিহতদের ঘরে ঘরে চলছে কান্নার রোল, চলছে আহাজারি। অন্যদিকে যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁদের স্বজনদের প্রধান চিন্তা সুচিকিৎসা নিয়ে।
এমনই দুশ্চিন্তায় আছে মাদারীপুরের শিবচরের প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যবসায়ী কবির মাদবরের (৪৫) পরিবার।
নেপালের হাসপাতালে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন বাংলাদেশি ১০ যাত্রীর মধ্যে কবির মাদবরও একজন। গুরুতর আহত অবস্থায় এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। ভেঙ্গে গেছে দুই পা। মাথায়ও গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি।
কবির মাদবরের পরিবারের সদস্যরা জানান, উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের কবির মাদবর দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকার উত্তরার কোটবাড়ি মাস্টারপাড়া এলাকায় সপরিবারে বসবাস করেন। তিনি নেপাল ও বাংলাদেশে প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসা করেন। তাই, ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তিনি প্রায়ই নেপালে যাওয়া-আসা করেন।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর বাড়িতে পৌঁছানোর পর পরিবারে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় কবির বেঁচে থাকায় পরিবারের সদস্যরা আশার আলো দেখলেও তারা উন্নত চিকিৎসার দাবি জানায়।
কবির মাদবরের ছেলে শাওন বর্তমানে নেপালে অবস্থান করছেন। শাওন বলেন,‘বিমান দুর্ঘটনায় আমার বাবার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে, পা ভেঙ্গে গেছে, মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে নেপাল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হলেও আমরা তাঁর সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সন্দিহান। আমরা তাঁর উন্নত চিকিৎসার দাবি করছি।’
ঢাকায় থাকা কবির মাদবরের স্ত্রী হেনা বেগম বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনায় অনেক লোকের মৃত্যু হলেও আমার স্বামী গুরুতর আহত অবস্থায় বেঁচে আছেন।এজন্য আল্লাহর কাছে আমরা শুকরিয়া জানাই। তবে আমরা চাই উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁকে দ্রুত সুস্থ করে তোলা হোক।’
কবিরের বড় ভাই আফসার মাদবর বলেন,‘আমার ভাই এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা পরিবারের সবাই তার সুস্থতা নিয়ে চিন্তিত। আমরা চাই প্রয়োজনে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানো হোক।’
গত সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলার একটি বিমান। ঢাকা থেকে দুপুরে রওনা দেয় বিমানটি। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় সেটি।