দাফনের ১১ দিন পর ছাত্রলীগ নেতার লাশ উত্তোলন
ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আশফাক আল রাফি শাওনের লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আজ সোমবার দুপুরে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুরের পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ তোলা হয়।
এ সময় ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী হরি, মামলার বাদী উপপরিদর্শক (এসআই) মুস্তাফিজুর রহমান ও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পলাশ কুমার উপস্থিত ছিলেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শহরের জেলা পরিষদ অফিসের সামনে শাওন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন তাঁকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ৮ মার্চ দুপুরে ওই হাসপাতালেই মারা যান শাওন।
পরে শাওনের বাবা আবদুল কুদ্দুছ জেলা প্রশাসনের কাছে মামলা করবেন না বলে অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করেন।
শাওন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত, ছাত্রলীগকর্মী পিচ্চি আরিফ ও হিমেলকে আটক করেছিল পুলিশ। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে চালান করা হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্ত হন তাঁরা।
১৫ মার্চ নিয়মিত হাজিরা দিতে এলে আদালত চত্বর থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সঞ্জয় দত্ত, ছাত্রলীগকর্মী পিচ্চি আরিফ ও হিমেলকে আটক করে পুলিশ। এরপর ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান শাওন হত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখান। মামলা তদন্ত করছেন এসআই পলাশ কুমার।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। গতকাল শুনানির পর আদালত তাঁদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কাল রাত থেকে ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।