হোটেলের দরজা ভেঙে মিলল তরুণের লাশ, তরুণী অচেতন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক তরুণের লাশ ও এক তরুণীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় হোটেল পায়রার কক্ষের দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মার্চ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওই দুই পর্যটক কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল পায়রার ৩০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। হোটেলের রেজিস্ট্রারে তরুণের নাম লেখা হয়, জাহাদুর (৩০), বাবার নাম হাফিজুর। বাড়ির ঠিকানার ঘরে লেখা হয়, খুলনার সোনাডাঙ্গা। তরুণীর নাম লেখা হয় তাসনিয়া (২৫)। স্বামীর নাম লেখা হয় জাহিদুল। বাবার নাম মজিবুর রহমান। গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের বেউথা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার দিনভর জাহাদুর ওরফে বন্ধন ও তাসনিয়া ওরফে তিনার কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রাতে পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশ গভীর রাতে হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষের দরজা ভেঙে ফেলে। এরপর জাহাদুর ও তাসনিয়াকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই জাহাদুর মারা গেছে। এ ছাড়া সঙ্গে আনা নারীও অচেতন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ সেবন করেছেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, হোটেলের ওই কক্ষ থেকে শতাধিক ট্যাবলেটের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। হোটেলের রেজিস্ট্রারে উল্লেখ করা নাম ঠিকানা যাচাই এবং মৃতের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অচেতন নারীকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।