পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা-হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
যশোরের চৌগাছা থানায় কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনেছেন এক তরুণী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিপি খাতুন নামের ওই তরুণী এই অভিযোগ করেন। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেই চৌগাছা থানার উপপরিদর্শক অনিল মুখার্জি এসব অস্বীকার করেছেন।
চৌগাছার যাত্রাপুর গ্রামের লিপি খাতুন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, তাঁর মামা শাহজালালকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা নেন চৌগাছা থানার এসআই অনিল মুখার্জি। এ কাজে মধ্যস্থতা করেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের ইদু মেম্বার ও তাঁর সহযোগী ওমর আলী।
লিপি খাতুন বলেন, গত ১ মার্চ যশোরে পুলিশ নিয়োগ সম্পন্ন হয়। কিন্তু শাহজালালের চাকরি হয়নি। চাকরি না হওয়ায় শাহজালাল ও লিপি টাকা ফেরত আনতে এসআই অনিল মুখার্জির কাছে যান। এরপর থেকে এসআই অনিল ও তার সহযোগীরা তাঁদের নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন। এমনকি যশোর শহর থেকে চৌগাছা ফেরার পথে চুড়ামনকাটিতে লিপি খাতুনকে মারপিটও করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলাকারীরা হাসপাতালে গিয়েও হুমকি দিয়ে একপর্যায়ে ভয়ে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। এরপর আদালতে মামলা করতে গেলে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
বর্তমানে লিপি খাতুন ও তাঁর মামাসহ পরিবারের লোকজন চরম ভীতির মধ্যে রয়েছেন বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিপি খাতুন হামলাকারী প্রতারকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও টাকা ফেরত পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তবে লিপি খাতুনের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অনিল মুখার্জি বলেন, ‘গত ২৫ ফেব্রুয়ারি লিপি খাতুন চৌগাছার মুক্তদহ বাঁওড়ে তার বন্ধু শরিফুল ও বাবুর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিল। এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দিলে আমি সেখানে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসি। এ সময় লিপির সঙ্গে আমার কথাকাটাকাটি হয়। এই ক্ষোভে সে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে।’