ডেসটিনির বিরুদ্ধে মামলা, বাদীর সাক্ষ্য সমাপ্ত
গ্রাহকদের চার হাজার ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ডেসটিনির বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক দুই মামলার মধ্যে এক মামলায় বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে বাদীকে জেরার মাধ্যমে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপরে বিচারক বাকি সাক্ষ্যের জন্য আগামী ১৫ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এ ছাড়া ডেসটিনির বিরুদ্ধে অপর আরেকটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত আছে।
আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন।
এ মামলায় আসামিরা হলেন, ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমীন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. দিদারুল আলম, মো. জিয়াউল হক মোল্লা ও সাঈদুল ইসলাম খান (রুবেল), অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুন-অর-রশিদ, জেসমিন আক্তার (মিলন), ডেসটিনির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এস এম আহসানুল কবির, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আজাদ রহমান, মো. আকবর হোসেন সুমন, মো. সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মো. মজিবুর রহমান, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী মো. ফজলুল করিম, মোল্লা আল আমীন, মো. শফিউল ইসলাম, সিকদার কবিরুল ইসলাম, মো. ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সুনীল বরণ কর্মকার ওরফে এস বি কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান তপন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাকিবুজ্জামান খান, এস এম আহসানুল কবির (বিপ্লব), এ এইচ এম আতাউর রহমান রেজা, গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, মো. আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, এ কে এম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. শফিকুল হক।
২০১৪ সালের ৪ মে গ্রাহকদের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ এক হাজার ১৮২ টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের দায়ে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনির ৫১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম দুটি মামলা দায়ের করেন।