শাহবাগ থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিল পুলিশ
রাজধানীর শাহবাগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ শাহবাগের মোড়ে লাঠিপেটা করে এবং কাঁদানে গ্যাসের একাধিক শেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ধাওয়া করে আন্দোলনকারী কয়েকজনকে আটক করেছে।
আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে পাঁচ দফা দাবিতে অবরোধ শুরু করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এ সময় শাহবাগের চারদিকে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ এর দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় লাঠিপেটাও শুরু করে পুলিশ। একই সঙ্গে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায় শাহবাগের মোড়। ধাওয়া দিয়ে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের কারণে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশও তাদের ধাওয়া করে। আন্দোলনকারীদের অনেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চত্বরে আশ্রয় নেয়। পুলিশ সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে।
এর আগে বিকেলে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পেলে আমরা আন্দোলন থামিয়ে রাস্তা ছাড়ব না।’ তিনি আরো বলেন, ‘কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস ছাড়া আমরা রাস্তা ছাড়ব না। আমরা আন্দোলন করছি কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশ্বাস আমরা পাচ্ছি না। আমরা আমাদের দাবি আদায় করে ঘরে ফিরতে চাই।’
তবে রাত ৮টার দিকেই শাহবাগ ছাড়তে হয় আন্দোলনকারীদের। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের ধাওয়া চলছিল। যান চলাচল এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি।
কোটা সংস্কারকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে- সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।