দুই সিটি নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বিএনপির বৈঠক
খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বৈঠক করছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। বৈঠকে দুই সিটিতে কোন দুজনকে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ দেওয়া হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খুলনা সিটি করপোরেশন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়। প্রথমে খুলনা সিটি করপোরেশনের তিন মেয়র পদপ্রার্থীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়।
মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা হলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
এরই মধ্যে খুলনায় মেয়র পদের জন্য বর্তমান মেয়র মো. মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে লড়তে দলের মনোনয়ন পেতে চান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও গাজীপুর সিটির বর্তমান মেয়র এম এ মান্নান, দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসানউদ্দিন সরকার, শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার, মেয়র মান্নানের ছেলে এম মনজুরুল করীম, গাজীপুর জেলা বিএনপি নেতা শওকত হোসেন সরকার, আবদুস সালাম ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শরাফত হোসেন।
খুলনা সিটির বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেব। দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা সবাই তার জন্য কাজ করব।’
মনি বলেন, ‘এখানে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে। তাই দল যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটি বাস্তবায়নে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। তাই সব নির্বাচনে অংশ নেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ পরাজয়ের ভয়ে সুষ্ঠু ভোটে ভয় পায়। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হবে।’
তফসিল অনুযায়ী, মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১২ এপ্রিল; যাচাই-বাছাই ১৫-১৬ এপ্রিল ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ এপ্রিল।
৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন।
খুলনা সিটি করপোরেশন গঠিত ৩১টি সাধারণ এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে। এখানে মোট ভোটার চার লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪ ।
আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক রয়েছে।