কিশোরগঞ্জে পুকুর ভরাট, আ. লীগ নেতাসহ নয়জন কারাগারে
পরিবেশ আইন অমান্য করে পুকুর ভরাটের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের মারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান হলুদসহ নয়জনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. আবদুস সালাম খান এ আদেশ দেন।
আসামিরা আজ রোববার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। এর আগে হাইকোর্ট থেকে নেওয়া চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। ওই মেয়াদ শেষে নয় আসামি আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আসামিদের উপস্থিতিতে জামিন শুনানির পর আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান হলুদ ছাড়া অন্য আসামিরা হচ্ছেন দেলোয়ার হোসেন খান, আসাদুজ্জামান ভূঞা ওরফে জীবন, অধির সরকার, সুমন চন্দ্র বসাক, কার্তিক চন্দ্র বসাক, ব্রজ গোপাল বসাক, দুলাল চন্দ্র বসাক ও রতন চন্দ্র বসাক
মামলার বিবরণে জানা যায়, মুজিবুরের নেতৃত্বে আসামিরা কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নগুয়া বিন্নগাও এলাকায় অবস্থিত শত বছরের পুরাতন প্রায় ৫০ শতাংশ আয়তনের একটি পুকুর অবৈধভাবে ভরাটের কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাসউদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা দেন। এ ঘটনায় গত ১ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল গফুর বাদী হয়ে পরিবেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে নয়জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিরা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি ওবায়দুল হক ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ কর্তৃক চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। ওই মেয়াদ শেষে আজ আদালতে হাজির হন। আসামিদের পক্ষে দ্রুত উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করা হবে।