তৃতীয় স্ত্রী, শ্যালককে ফাঁসাতে নিজের ছেলেকে হত্যা!
ছেলেকে হত্যার প্রায় ছয় মাস পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এক বাবা। এর আগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেন দুলাল মিয়া (৩৮)।
গোয়েন্দা পুলিশ আজ সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নয়ন চন্দ্র মোদকের আদালতে হাজির করলে ছেলে হত্যার কথা অকপটে স্বীকার করেন দুলাল। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর তৃতীয় স্ত্রী ও তাঁর স্বজনদের ফাঁসাতে নিজের ছেলে সংগ্রামকে হত্যা করেন নান্দাইল উপজেলার সুদ্ধাইল গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া।
ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল চন্দ্র দাস এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল চন্দ্র দাস রোববার বিকেলে দুলালকে গ্রেপ্তার করেন। পরে গোয়েন্দা অফিসে রাতভর দুলালকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। একপর্যায়ে তৃতীয় স্ত্রী সুফিয়া ও তাঁর স্বজনদের ফাঁসাতে নিজের ছেলেকে হত্যার বর্ণনা দেন দুলাল। দুলালের তিন স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী রেহানার ছেলে সংগ্রাম। সোমবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালত দুলালকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর রাতে দুলাল তাঁর ছেলে সংগ্রামকে (১৪) পাশের বিলের পানিতে চুবিয়ে পরে ছুরি মেরে হত্যা করেন। এরপর তৃতীয় স্ত্রী সুফিয়া, শ্যালক শহীদুল ও শহীদুলের ভগ্নিপতি মোকসেদকে আসামি করে নান্দাইল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পরের দিন বিল থেকে সংগ্রামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।