কুমিল্লার মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন নাকচ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় আটজন নিহত হওয়ার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের ৫ নম্বর আমলি আদালতে জ্যেষ্ঠ বিচারক মোস্তাইন বিল্লাহ এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া এবং অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। আজ জামিন আবেদন আদালত নামঞ্জুর করেছেন। নথি হাতে পাওয়ার পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করবেন তাঁরা। সেখানে ন্যায়বিচার পাবেন বলেও আশা করেন তাঁরা।
গত ১২ মার্চ সোমবার বিকেলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লার ৫ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মুস্তাইন বিল্লাহ কুমিল্লার এই মামলায় খালেদা জিয়াকে ২৮ মার্চ হাজিরার নির্দেশ দেন।
কুমিল্লা আদালতে দায়িত্বরত পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, জিআর ৫১ মামলায় জিয়াকে গ্রেপ্তারের আবেদন কুমিল্লায় আমলি আদালত-৫ (চৌদ্দগ্রাম) কোর্টে উপস্থাপন করলে সংশ্লিষ্ট আদালত তাঁর নামে হাজিরা পরোয়ানা (পিডব্লিউ) জারি করেন। পরোয়ানাটি সেদিনই ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে আটজন যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান, আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ছয়জন নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে তিনজন মারা যান, পাঁচজনের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। খালেদা জিয়াসহ অন্য ৬৯ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফিরোজ হোসেন।