বিএনপিকে বাইরে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপিকে বাইরে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রেজিস্ট্রারি মাঠে আসে দলীয় নেতাকর্মীরা।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোশাররফ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে। সরকার ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে। সেই সময় জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত
করা হয়েছিল। এবার যদি বিএনপি নির্বাচনে যায় তাহলে সরকারের একদলীয় নির্বাচনের উদ্দেশ্য সফল হবে না। তাই বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে খালেদা জিয়াকে জেলে ঢুকানো হয়েছে। এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনেরও দাবি জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সরকার জনগণকে ভয় পায়। তাই রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ- আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকারকে এরই মধ্যে স্বৈরাচারী সরকার হিসেবে অভিহিত করেছে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী। ইতিহাস বলে স্বৈরাচার বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। এক সময় স্বৈরাচারের পতন হয়। এই সরকারের পতন হবেই।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলকে যৌক্তিক মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই আন্দোলনে সরকার পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে। বিএনপির ভিশন ২০২০-৩০-এ মুক্তিযোদ্ধা, নৃতাত্ত্বিক ও প্রতিবন্ধী কোটা ছাড়া অন্য কোটাগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।
রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ থাকা বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি এম ইলিয়াস আলীকে স্মরণ করে তাঁর অভাব অনুভবের কথা নিজের বক্তৃতায় উল্লেখ করেন মোশাররফ।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং জেলা সম্পাদক আলী আহমদ ও মহানগর সম্পাদক বদরুজ্জামানের সঞ্চালনায় বেলা ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও মায়ের অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি বলে জানানো হয়।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও ইনাম আহমদ চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) শাখাওয়াত হোসেন জীবন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক
সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, কলিম উদ্দিন মিলন, শফিকুল ইসলাম বাবুল, সহক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, শাম্মী আখতার, সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আহমদ চৌধুরী, চিত্রনায়ক হেলাল খান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল হক প্রমুখ।