বিচার চাইতে এলে গৃহবধূকে ধর্ষণ, চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের এক গৃহবধূ।
ধর্ষণের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই নির্দেশ দেন আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জকির হোসেন।
নির্যাতিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফুলগাজী ইউনিয়নের ওই গৃহবধূ পারিবারিক বিষয়ে বিচার চাইতে গতকাল বুধবার বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের কাছে যান। বিচারপ্রার্থী ওই গৃহবধূর সঙ্গে তখন তাঁর ভাতিজা ছিল। এ সময় কৌশলে তাঁর ভাতিজাকে নুরুল ইসলাম দোকানে পাঠিয়ে দেন। এরপর ইউপি ভবনের তৃতীয় তলার একটি ঘরে নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
দোকান থেকে ফিরে এসে ভাতিজা চাচিকে খুঁজতে খুঁজতে ওই ঘরের সামনে গেলে, বন্ধ দরজার ভেতর থেকে গোঙানির শব্দ শুনে চিৎকার দিতে থাকে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে নুরুল ইসলাম দরজা খুলে দৌঁড়ে পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয়রা ওই গৃহবধূকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে চেতনা ফিরলে পুলিশের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা দেন গৃহবধূ।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নির্যাতিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে রাতেই তাঁকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন বলে ওসি জানান।
ফেনী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক এমদাদ উল্লাহ মজুমদার জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই গৃহবধূকে জরুরি বিভাগে আনার পর গাইনি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। সেখানে গাইনি কনসালটেন্ট তাহিরা খাতুন রোজী তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, নির্যাতিতার শরীরে ধর্ষণের প্রমান পাওয়া গেছে বলে গাইনি ওয়ার্ডের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
ফুলগাজী থানা পুলিশ বুধবার রাতেই ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে, আজ ফেনীর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।