রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, ‘দুর্ঘটনা কখনো বলে কয়ে আসে না।’ তিনি জানান টঙ্গীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের আর্থিক সহায়তা করবে সরকার। আহতদের চিকিৎসার দায়িত্বও নেবে রেল মন্ত্রণালয়। 

আজ রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী। 

আজ রোববার টঙ্গীর নতুনবাজার এলাকায় জামালপুর থেকে ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাঁচজন নিহত ও অর্ধশত আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সব রুটে ট্রেন চলাচল প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। নিহতদের মধ্যে একজন ছাড়া অন্যদের বিস্তারিত পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

আহতদের অধিকাংশকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।  

সন্ধ্যার দিকে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন রেলমন্ত্রী মজিবুল হক।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।

এ কে এম নাসির জানান, গত জানুয়ারি মাসে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে ট্রেনের নিচে পড়ে দুই পা হারানো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবিনা আক্তারের (২২) চিকিৎসার খরচও দিচ্ছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি আরো জানান, রুবিনার কৃত্রিম পা সংযোজন করা জন্য আড়াই লাখ টাকা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। আগামী মঙ্গলবার সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে রুবিনাকে নিয়ে যাওয়া হবে। 

রুবিনা আক্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের শান্তিনগর গ্রামের বাসিন্দা। বাড়ি যেতে ট্রেনে ওঠতে গিয়ে ট্রেনের নিচে পড়ে যান তিনি। 

আহত রুবিনাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।