সিসি ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে পাম্প ম্যানেজারকে মারধর
ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের এক নেতাসহ তিনজনের নামে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে এ মামলা করেন শহরতলির শম্ভুগঞ্জের ‘সারমানো এনার্জি লিমিটেড’ নামে একটি সিএনজি গ্যাস পাম্পের ব্যবস্থাপক আকতার আল রিপন।
মামলায় ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য মোক্তার হোসেন, কর্মী রয়েল হোসেন ও আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরো ১৪/১৫ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
মোক্তার হোসেনের নাম যে প্রস্তাবিত কমিটিতে আছে, সে তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম।
বাদী আকতার আল রিপন জানান, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরেই টেলিফোনে তাঁর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে নানাভাবে হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে গত শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে এক ঘণ্টার মধ্যে ১০ হাজার টাকা নিয়ে বাদীকে দেখা করতে বলে আসামিরা। বিষয়টি সিএনজি পাম্পের মালিককে জানানোর কথা বললে ফোন কেটে দেওয়া হয়। পরে ওই দিনই রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিএনজি পাম্পে আকতাল আল রিপনের অফিসে প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে দেয় আসামিরা। এরপর টাকার দাবিতে তাঁকে কিলঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে। রিপনের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এলে পাম্প বন্ধ করার হুমকি দিয়ে আসামিরা চলে যায়। পরে আহত রিপন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও খন্দকার শাকের আহামেদ জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা করেছেন ওই পেট্রলপাম্পের ব্যবস্থাপক। বিষয়টি তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন।
সিএনজি পাম্পটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল ইসলামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপায় এবং পরিচালক লুৎফর রহমানের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। পরিচালক বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেউই ময়মনসিংহে থাকেন না বলে জানান ব্যবস্থাপক রিপন।