জামিন পেলেন ইউনাইটেড হাসপাতালের এমডি
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরিদুর রহমান খানকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল সাংবাদিকদের জানান, আজ আদালতে ফরিদুর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক শুনানি শেষে জামিনের আবেদন মঞ্জু্র করেন।
তাপস কুমার পাল জানান, এ বছরের ১১ জানুয়ারি কর ফাঁকির অভিযোগে ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক। সে মামলায় অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার রহিমা বেগমকে আসামি করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালে রাজধানীর গুলশান-২ আবাসিক এলাকার ৭১ নম্বর রোডের ১৫ নম্বর বাড়িতে বেজমেন্টসহ একটি আটতলা ভবনে ‘কন্টিনেন্টাল হাসপাতাল’ নামে কার্যক্রম শুরু হয়।
পরবর্তী সময়ে ২০০৭ সালে হাসপাতালটির মালিকানা ও নাম পরিবর্তন হয়ে ‘ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড’ নামে কার্যক্রম শুরু করে।
এদিকে ২০০৬ সাল থেকে হাসপাতালটির ত্রৈমাসিক হোল্ডিং ট্যাক্স ৮৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৯০ টাকা নির্ধারণ করে ২০০৭ সালে নোটিশ দেয় ঢাকা সিটি করপোরেশন।
ওই কর আরোপের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড হাসপাতাল সিটি করপোরেশনের অ্যাসেসমেন্ট রিভিউ বোর্ড (এআরবি) বরাবর আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এআরবি বোর্ডের চেয়ারম্যান এককভাবে ২০০৯ সালে ত্রৈমাসিক কর কমিয়ে ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫০ পুনর্নির্ধারণ করেন।
এতে ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেডের ত্রৈমাসিক কর ১৩ লাখ ২২ হাজার ৩৪০ টাকা কমে যায়। তা কমানো সত্ত্বেও ইউনাইটেড হাসপাতাল পরবর্তী সময়ে কর পরিশোধ করেনি।
এ ঘট্নায় এ বছরের ১১ জানুয়ারি সাবেক কমিশনার রহিমা বেগম ও ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান খান পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২১ কোটি ৪৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৩ টাকা কর পরিশোধ করেননি বলে মামলা করা হয়।