হত্যার পর ১০ টুকরা, ছয়জনের যাবজ্জীবন
নরসিংদীতে চাঞ্চল্যকর গোলাপ হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আজ সোমবার দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই আদেশ দেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন আনোয়ার হোসেন, মোশারফ হোসেন, ফিরোজ মিয়া, জুলহাস মিয়া, আকবর আলী ও সুন্দর আলী। আসামিরা সবাই নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের কুড়েরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার পাঁচদোনা থেকে ওষুধ নিয়ে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন গোলাম হোসেন (৩০)। বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের তিনদিন পর পাঁচদোনা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এক ব্যক্তির কাটা হাতের একটি অংশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এর পাশে কাদা মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় লাশের কিছু অংশ দেখা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের মাথাসহ ১০টি টুকরা উদ্ধার করে। পরে গোলাপের বাড়ির লোকজন তাঁর লাশ শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোস্তফা হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে সাক্ষ্যপ্রমাণসহ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচাররক ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। অপর আসামি মোস্তাফিজুর রহমানকে বেকসুর খালাস দেন।