‘আপাতত সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নেই’
গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার বন্ধে বিএনপির দাবি নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আপাতত সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
হেলালুদ্দীন বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা ইসির নেই। ইভিএমের মতো প্রযুক্তি আইনানুগভাবে ব্যহার করা হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচনে। এরপরও এ নিয়ে আপত্তি থাকলে বিএনপিকে ইভিএম আবার দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’
গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এ ব্যাপারে হেলালুদ্দীন বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তা এসপি হারুনকে প্রত্যাহারে বিএনপির দাবির বিষয়ে পরে কমিশন সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কমিশন বৈঠকে এটা নিয়ে আলোচনা হবে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ, পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষতাসহ অনেক সুপারিশ ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হবে বলে বিএনপি প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
এর আগে সকালে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে কথা বলতে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে। বেলা ১১টার দিকে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের ছয় সদস্য আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৈঠকে অংশ নেয়।
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
অপরদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদার নেতৃত্ব কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।