কিশোরগঞ্জে কলেজছাত্রের খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ
কিশোরগঞ্জে কলেজছাত্র রাজা আহমেদের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নবাসী। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর ফলে কিশোরগঞ্জ-চামড়াবন্দর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
কর্মসূচি চলাকালে বৌলাই চৌরাস্তা বাজার থেকে হাবিব নগর বাজার পর্যন্ত সড়কের এক কিলোমিটার অংশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। এ সময় স্থানীয় জনগণ খণ্ড খণ্ড মিছিল করে রাজা হত্যার প্রতিবাদ জানায়। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
কর্মসূচি চলাকালে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন, ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সালাম, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয়া হোসেন, বৌলাই কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি জিয়াউদ্দিন ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন।
সমাবেশে বক্তারা মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ পরও কোনো আসামির গ্রেপ্তার না হওয়ায় তীব্র নিন্দা জানায় এবং আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার না করলে পুনরায় কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়।
সমাবেশে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের ধরার আশ্বাস দেন। এরপর দুপুর ১টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয় এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গত ৯ এপ্রিল রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজারে একটি কাপড়ের দোকানে জামার দাম নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে করিমগঞ্জ সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র রাজা আহমেদ (২১), তাঁর বড় ভাই রাজু ও ফুফাত ভাই প্রান্তকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল মারা যান রাজা মিয়া। বড় ভাই রাজু বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহত রাজা আহমেদ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের উত্তর রাজকুন্তি গ্রামের মো. ফজলুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় রাজা ও রাজুর বড় বোন ঝুনু আক্তার বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।