পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পুলিশের স্ত্রী!
পুলিশের ভয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পাবনার নিহত পুলিশ সদস্য আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী খালেদা খাতুন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাঁথিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে খালেদা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী হত্যার প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলার প্রধান আসামি পুলিশের মিরপুর জোনের পরিদর্শক রেজাউল করিম, পুলিশ সদস্য হৃদয় ও সোহেলসহ অন্যান্য এজাহারভুক্ত আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার না করে কালক্ষেপণ করছে। হত্যা মামলার আসামি হয়েও তাঁরা নিজ কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে কিভাবে রয়েছে?’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে খালেদা খাতুন প্রশ্ন করেন, ‘একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে অন্য পুলিশকে কিভাবে হত্যা করতে পারে? অপরদিকে, আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। পুলিশের স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও দুই শিশু সন্তান নিয়ে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’
প্রায় এক মাস আগে পাওনা টাকার বিরোধকে কেন্দ্র করে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে আসা পুলিশ সদস্য আনোয়রকে (ক/১২৭৪৩) ধরে নিয়ে বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
পরে ২৬ মার্চ সকালে স্থানীয় এক মেস থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৭ মার্চ নিহতের স্ত্রী খালেদা খাতুন বাদী হয়ে পুলিশের কর্মকর্তা রেজাউল করিম, হৃদয় ও সোহেলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে পাবনার আমিনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। যেই মামলার নম্বর ২৯।
আজ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত আনোয়ারের বাবা ওহাব প্রামাণিক, চাচাতো ভাই রেজাউল করিম, আনোয়ারের দুই শিশু সন্তান মিতুল (৮) ও মায়শা (৪)।
এ সময় সন্তানদের নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন খালেদা খাতুন। স্বামী হত্যার সুবিচার চান তিনি।