আলোচনার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে : নোমান
আলোচনার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। এখন সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপি। মিছিলে ও স্লোগানে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় নোমান এসব কথা বলেন।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আলোচনা করার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। এখন এই সরকারের পতনের আন্দোলনে, মিছিলে এবং স্লোগানে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, আলোচনায় নয়।
আদালতের নয়, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে দাবি করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে, এটা এই সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফলাফল। ফৌজদারি মামলা, কিন্তু কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক। সে রাজনীতি কী? সেটা হচ্ছে এ দেশের মানুষ লড়াই করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল, সে গণতন্ত্র আজকে দেশে অনুপস্থিত। এই সরকার শুধু স্বৈরাচারী সরকার নয়, শোষণ এবং বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করার প্রক্রিয়ার একটা সরকার।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, এই সরকারের দুর্নীতিতে, ডাকাতিতে, চুরিতে আর কোনো লজ্জাবোধ নাই। চুরি ডাকাতি এখন আর রাতে করে না। দিনেই করতে পারে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে জানিয়ে নোমান বলেন, আমাদের বিশ্বাস আগামী দিনে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হবে, তাদের গণতান্ত্রিক, অধিকার আন্দোলনের লড়াইয়ে। এতে আমরা অবশ্যই জিতব। কোনো বিরোধী শক্তি কোনো দিন কোনো লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছে এর কোনো উদাহরণ এই ভারতীয় উপমহাদেশে নাই।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আন্দোলন এমন একটা অবস্থায় এসেছে, ৮ তারিখ (খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা শেষে কারাগারে পাঠানো হয় ৮ ফেব্রুয়ারি) তার নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। জোয়ার ভাটার দেশ। অনেক সময় ভাটা হলে জোয়ারের যে গতি, সেই গতি উপলব্ধি করা যায় না, জোয়ার আসলে সেটা বোঝা যায়। বাংলাদেশের মানুষের ভেতরে যে ক্ষোভ, দুঃখ, যন্ত্রণা, বেদনা, সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে ধীরে ধীরে। আগামী দিনেও সেটা ঘটতে থাকবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা. মো. আবু বক্কর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।