‘আম নিয়ে ঝগড়া’, ছুরিকাঘাতে আহত কিশোরের মৃত্যু
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ধলপুরে ছুরিকাঘাতে আহত কিশোর মারা গেছে। তার নাম আফসার উদ্দিন সিহাব (১৫)। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করার পর হৃদয় নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ধলপুর বাদল সরকার গলির মানিক মিয়ার বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সিহাব ভাড়া বাসায় থাকত। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মইষারচরে। তার বাবা সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সাজুদ্দিন মিয়া সাজু ও মা হাসিনা বেগম গৃহিণী।
নিহত কিশোরের বন্ধু মজিবর বলেন, ‘গত বুধবার আমার ছোট ভাই ইমরান ও সিহাবসহ কয়েকজন ধলপুর মানিক মিয়া কোয়ার্টারের পুকুরে যায় গোসল করতে। সেখানে ইমরান একটি গাছ থেকে কয়েকটি আম পাড়ে। এ সময় পার্শ্ববর্তী সিটি কলোনির জুয়েল, হৃদয়সহ কয়েকজন ইমরানের কাছে আম চায়। তাদের আম না দেওয়ায় কথাকাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে তারা ইমরানকে চড়থাপ্পড় মারে। পরে সেখান থেকে চলে এলেও সেদিন তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়।’
মজিবুর আর বলেন, এরপর গতকাল বিকেলে সিহাবসহ তার বন্ধুরা কোয়ার্টারে ক্রিকেট খেলার জন্য যায়। খেলা শেষে হৃদয়, জুয়েলসহ ২০/২৫ জন তাদের ধাওয়া দেয়। কোয়ার্টার থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় একপর্যায়ে র্যাব-১০-এর কার্যালয়ের সামনে সিহাবকে ধরে হৃদয় তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে সিহাবের পেটের বাঁ পাশে গুরুতর জখম হয়। পরে তারা পালিয়ে গেলে সিহাবের বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ইসলামী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন।
নিহত কিশোরের বাবা সাজুদ্দিন মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের সামনে বসে জানান, গতকাল সন্ধ্যায় সিহাব ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। রাতেই তাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হলে রাত ২টায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বাবা আরো জানান, সিহাব স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। তবে দীর্ঘদিন হয় সে লেখাপড়া বাদ দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, নিহতের স্বজনরা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এতে আসামিদের মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজন হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।