মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম আর নেই
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বিশিষ্ট রাজনীতিক, সমাজসেবক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব মো. আবদুল করিম আর নেই। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলহাজ্ব মো. আবদুল করিম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
আজ শুক্রবার বাদ মাগরিব কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে আবদুল করিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহরের নগুয়া বিন্নগাও এলাকায় নিজ বাসভবন সংলগ্ন পারিবারিক গোরস্তানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাজা ও দাফনে অংশ নেন।
জানাজার আগে স্থানীয় ইসলামিয়া মার্কেটের সামনে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে আবদুল করিমকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করে।
আবদুল করিম দীর্ঘদিন ধরে লিভারসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। এজন্যে তিনি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাঁর মত্যু সংবাদে জেলা শহরে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, এক মেয়ে, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর ছোট ছেলে এনায়েত করিম অমি জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মো. আবদুল করিম কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সহসভাপতি ও পৌর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি কিশোরগঞ্জ হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি হিসাবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।
জেলা শহরে অবস্থিত নুরুল উলুম বালিকা আলিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তিনি তাবলীগ জামাতের একজন মুরুব্বি হিসাবে সব সময় কাজ করে গেছেন। এছাড়াও তিনি জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।