কালবৈশাখীতে স্কুলছাত্রীসহ দুজন নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবীনগর উপজেলা ও গাজীপুরে কালবৈশাখীতে এক বৃদ্ধ ও এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে প্রচণ্ড ঝড়ের সময় হঠাৎ উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে নবীনগরের বড়িকান্দি ইউনিয়নে বৃদ্ধ আলী আকবরের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া কালবৈশাখীরর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে নবীনগরের বিভিন্ন এলাকা। ভেঙে গেছে কয়েক শতাধিক টিনশেডসহ কাঁচা ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাছপালা ও উঠতি ফসল জমি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্যুতের খুটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এ ছাড়া নাসিরনগরে ঝড়ে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চালসহ স্কুলের বেড়া উড়ে গেছে।
গাজীপুরে শনিবার বিকেলে কালবৈশাখীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় এক কারখানার পিলারসহ শেড ভেঙে পাশের বাড়ির চালে পড়ে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয় এবং তার এক বান্ধবী আহত হয়েছে। নিহতের নাম নাসরিন আক্তার খুকু। সে শেরপুর সদরের চরপক্ষী দাসপাড়া এলাকার আবদুল হালিমের মেয়ে। সে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা এলাকার ভারটেক্স আইডিয়াল স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত।
জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. জাকির হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা এলাকায় সাইফুল ইসলামের বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ভাড়া থেকে স্থানীয় ওই স্কুলে লেখাপড়া করত নাসরিন। শনিবার বিকেলে স্কুল ছুটি শেষে সে তার এক বান্ধবীর সঙ্গে বাসায় ফিরছিল। এ সময় ঝড় শুরু হলে পথের পাশের এক ছাপড়া ঘরের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ঝড়ে প্রচণ্ড বাতাসে ওই বাড়ির পাশের সফি প্রসেসিং কারখানার সাততলা ভবনের ছাদের ওপরের টিনের শেড ও পিলার ভেঙে ওই বাড়ির চালের ওপর পড়ে। এতে ওই দুইজন চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলেই নাসরিন নিহত এবং তার বান্ধবী আহত হয়। আহতের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে প্রায় একই সময়ের ঝড়ে জেলার শহর এলাকা ও কালীগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিপুল সংখ্যক গাছপালা ও বিদ্যুতের খুটি উপড়ে গেছে। প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি ও দোকানপাটের চাল উড়ে যায়। গাছ ও বিদ্যুতের খুটি সড়কের ওপর উপড়ে পড়ায় জয়দেবপুর-কাপাসিয়া সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসসহ উদ্ধার কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার কাজ চালিয়েছে।